কুঁজো বুড়ির গল্প


 কুঁজো বুড়ির গল্প একটি জনপ্রিয় বাংলা রূপকথা, যা ছোটদের জন্য প্রচলিত। এই গল্পে এক বৃদ্ধা নারীর সাহসিকতা, বুদ্ধি এবং দয়া প্রধান চরিত্র হিসেবে চিত্রিত হয়। নিচে গল্পের একটি সারাংশ দেওয়া হলো:



---


এক ছিল কুঁজো বুড়ি। তিনি ছিলেন একেবারেই দরিদ্র, তবে ছিলেন খুবই পরিশ্রমী এবং দয়ালু। বুড়ি একদিন জঙ্গলে গিয়ে কাঠ কেটে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে গভীর বনে সন্ধ্যা নেমে আসে। বুড়ি বুঝতে পারলেন, বাড়ি পৌঁছানো সম্ভব নয়, তাই একটি বড় বটগাছের নীচে আশ্রয় নিলেন।


হঠাৎ, রাত গভীর হলে বনের ভেতর থেকে ভূত, পেত্নি, ডাইনি এবং বাঘের মতো ভয়ঙ্কর প্রাণীরা একত্রিত হয়ে গল্প করতে বসে। বুড়ি ভয় পেলেও সাহস করে বটগাছের তলায় চুপ করে বসে থাকলেন। প্রাণীরা একে একে নিজেদের গোপন কথা বলছিল—কোথায় গুপ্তধন আছে, কীভাবে রোগমুক্ত হওয়া যায়, আর কীভাবে তাদের বশে রাখা যায়। বুড়ি সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন।


সকাল হলে বুড়ি সেই প্রাণীদের বর্ণিত গুপ্তধনের সন্ধানে গেলেন এবং তা খুঁজে পেয়ে ধনী হয়ে গেলেন। তিনি গ্রামের মানুষেরও অনেক উপকার করলেন, বিশেষ করে অসুস্থদের সাহায্য করলেন।


এভাবেই তার দয়া এবং বুদ্ধিমত্তার কারণে তিনি সবার প্রিয় হয়ে উঠলেন।



---


গল্পের শিক্ষা:

গল্পটি আমাদের শেখায় সাহস, ধৈর্য, এবং বুদ্ধিমত্তা থাকলে কঠিন পরিস্থিতি থেকেও উপায় বের করা সম্ভব। এছাড়া, অন্যদের সাহায্য করলে সমাজেও সম্মান পাওয়া যায়।


Post a Comment

0 Comments